৭৫ হাজার ৬৪২ গাড়ির তথ্য নেই,তৎপর ব্যবস্থা নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ:ডিআইজি শফিকুল ইসলাম

দেশের নানা সড়কে চলাচলকারী ৭৮ হাজার ১৯২টি গাড়ির মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৫৫০টি গাড়ির সব ধরনের তথ্য রয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সার্ভারে। এ হিসাবে ৭৫ হাজার ৬৪২টি গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সনদ, রুট পারমিট, সিলিংয়ের তথ্য নেই। অর্থাৎ এ গাড়িগুলো আইনের তোয়াক্কা না করে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়কে। এবার সেই গাড়ির মালিকদের আইনের আওতায় আনতে তৎপর হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর বিআরটিএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ এবং সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ’ বিষয়ে জাতীয় সংলাপে এসব কথা জানান হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস) মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর আওতায় হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ ১ হাজার ৪৭২টি ক্যামেরা স্থাপন করবে। চার ধরনের ক্যামেরার একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির।’
এই এআই ক্যামেরার মাধ্যমে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে গাড়িগুলোর নম্বর প্লেট পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর পর বিআরটিএ ডেটাবেইজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে এই গাড়ির নিবন্ধন, রুট পারমিটসহ সব ধরনের তথ্য রয়েছে কি না। গতিসীমাও পরিমাপ করা যাবে এ ক্যামেরায়। অনিবন্ধিত গাড়িগুলোর মালিককে মামলার তথ্য পাঠাবে হাইওয়ে পুলিশ। মালিকপক্ষ সায় না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংলাপে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াছীন জানান, সারা দেশে ৬ লাখ যানবাহনের কাগজপত্র আপডেট করা হয়নি। ৭৮ হাজার যানবাহন ভুয়া নাম্বার প্লেট নিয়ে সড়কে চলছে। এ তালিকা ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক, ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসাইন, বিআরটিএর সাবেক বোর্ড মেম্বার আবদুল হকসহ আরও অনেকে জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
জাতীয় সংলাপে সভাপতিত্ব করেছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।